Pages

Sunday, March 15, 2015

ওপেনিং নিয়ে অস্বস্তি থাকছেই

ওপেনিং নিয়ে অস্বস্তি থাকছেই

রানা আব্বাস | আপডেট:
এমসিজিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে গেলেন তামিম। ছবি: শামসুল হকটাইম মেশিনে এক মাস আগে ফিরে গেলে কী দেখবেন? চারটি প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ; সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। অথচ ......
সেই দলটা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল মূল মঞ্চে এসে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখার এ আনন্দক্ষণেও দলের পুরোনো রোগটি নিয়ে খচখচানি থেকেই যাচ্ছে—উদ্বোধনী জুটিটা কেন দাঁড়াচ্ছে না?
প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ‘এক-দুই উইকেট নেই’ ধরে নিয়ে এগোতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পরিসংখ্যানটা দেখুন, একমাত্র আফগানিস্তান ম্যাচ বাদে সবগুলো ম্যাচেই
ওপেনাররা ব্যর্থ। আফগানদের বিপক্ষে এনামুল হক-তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটিতে এল ৪৭ রান। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জুটি গড়ে উঠবে কী, স্কোর বোর্ডে রান যোগ হওয়ার আগেই তামিম দেখলেন স্টাম্পের ‘লাল বাতি’ জ্বলে গিয়েছে! স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। চোটের কারণে এনামুল ব্যাট করতে পারলেন না। সেদিন উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে নামলেন সৌম্য সরকার। ৫ রানেই ভাঙল এ জুটি! তামিমের ব্যাট অবশ্য এদিন হাসল, করলেন ৯৫ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও একই দশা। এনামুলের চোটে নতুন ওপেনার ইমরুল কায়েসকে উড়িয়ে আনা হলো। কিন্তু এল না ভিন্ন ফল। ইংলিশদের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ৩ রানেই উদ্বোধনী জুটি শেষ! ৮ রানের মধ্যে ফিরলেন দুই ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ওপেনাররা ধুঁকলেন বেশ কিছুক্ষণ। ৫.৪ ওভারে ৪ রান তুলে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি!
অথচ দলকে বড় সংগ্রহের মূল ভিত্তি গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব ওপেনারদের। নতুন বলের ধাক্কা সামলে মিডল-লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করে দিতে হয় উদ্বোধনী জুটিকেই। তামিমই তো একবার বলেছিলেন, ‘আমাদের জয়-পরাজয় সাধারণত সুন্দর শুরু ও শেষের ওপর নির্ভর করে। যদি শুরুটা দারুণ করতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে।’ কিন্তু সেই ‘শুরুটা দারুণ’ হচ্ছে কোথায়? বাংলাদেশ কিন্তু এরই মধ্যে চার ওপেনার (সৌম্যকে ধরে) খেলিয়ে ফেলেছে। কিন্তু একটি জুটিও ৫০ পেরোতে পারেনি।
সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানও উদ্বিগ্ন দলের এ সমস্যা নিয়ে, ‘এখন যেহেতু সামনে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে চাইব না, এ মুহূর্তে কোনো পরিবর্তন আসুক দলে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, আমাদের দলের সেরা সমন্বয়টাও প্রয়োজন। আমরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছি। অধিকাংশ ব্যাটসম্যান ফর্মে আছে। নিয়মিত রান পাচ্ছে। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও নিচে নেমে সাব্বির রহমান দারুণ খেলছে। এখন আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে। যদি নতুন বলে ওপেনাররা মানিয়ে নিতে পারে, তবে পরের ব্যাটসম্যানদের খেলাটা সহজ হয়। কিন্তু সেটা হচ্ছে কি?’
আতহার আলী খান ও হাবিবুল বাশার। ছবি: প্রথম আলোসাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে নির্বাচক হাবিবুল বাশার অবশ্য বললেন, ‘এটা বুঝতে হবে, একটা দল বিশ্বকাপ খেলছে; ফলে এ মুহূর্তে দুই ওপেনারের বিকল্প খোঁজা সম্ভব নয়।’
মিডল অর্ডার-লোয়ার মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-মুশফিক-সাব্বিরদের ব্যাট জ্বলে উঠছে বলেই গ্রুপ পর্বে ওপেনারদের ব্যর্থতায় খুব চড়া মূল্য দিতে হয়নি দলকে। কিন্তু ১৯ মার্চ ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে উদ্বোধনী জুটির ব্যর্থতা যে ভোগাবে না, তার নিশ্চয়তা কী? তাহলে বাংলাদেশের কী করণীয়? আতহারের মতে, সৌম্যকে নিয়মিত ওপেন করানো যেতেই পারে, ‘তামিমকে নিয়ে চিন্তিত নই।হয়তো সর্বশেষ দুটো ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেনি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে উইকেটে থিতু হয়ে গেলে ভালো কিছুই হবে। তাহলে ইমরুল কায়েসের বিকল্প কী হতে পারে? এ ক্ষেত্রে ভাবতে হবে, সৌম্য সরকারকে ওপেন করানো যায় কি না। সে এমনিতেই নিয়মিত তিনে ব্যাট করছে। একটু আগেভাগেই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ায় সৌম্যকে দ্রুতই নামতে হচ্ছে। এক অর্থে ওপেনারের কাজটা কিন্তু সৌম্যকেই করতে হচ্ছে। নতুন বল তাকেই সামলাতে হচ্ছে। এমনিতে ৩ নম্বর জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানই এ পজিশনে খেলেন; যাতে ওপেনার দ্রুত ফিরলেও নতুন বলে সেট হয়ে বড় ইনিংস আসে। কথা হলো, সৌম্য যদি ওপেন করে, তবে তিনে কে আসবে? মাহমুদউল্লাহ চারে দারুণ খেলছে। তার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন না আনাই ভালো। তবে কি ৩ নম্বরে মুশফিককে আনা যায়? অবশ্য পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।’
হাবিবুল বললেন ভিন্ন কথা। সাবেক এ অধিনায়কের মতে, দুই ওপেনারের ওপর আস্থা রাখাই সমীচীন, ‘সৌম্য সরকার ৩ নম্বরে ভালো করছে। যদি কোনো ব্যাটসম্যান একটি পজিশনে ভালো করতে থাকে, তখন ওই পজিশন থেকে তাকে সরালে ছন্দপতন হতে পারে। মনে করি না, সৌম্যকে ওপেন করানোর কোনো অবকাশ আছে। অন্য দিকে মুমিনুল হকও ওপেনার নয়। এটা ঠিক, আমাদের বর্তমান দুই ওপেনার ভালো করতে পারছে না। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, একজন খেলোয়াড়ের যখন খারাপ সময় যায়, তখন তার ওপর আস্থা রাখতে হয়, উৎসাহ দিতে হয়। তাহলে তার কাছ

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.