Pages

Sunday, March 15, 2015

এইটুকুতেই ঘেমে গেলেন ধোনি!

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট:


সংবাদ সম্মেলনে ধোনি। এএফপিবিশ্বকাপের মতো বড় একটি টুর্নামেন্ট। আয়োজক দুটি প্রতিবেশী দেশ। তবে প্রতিবেশী হলেও তাদের মাঝে তাসমান সাগরের ব্যবধান। অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলকেই খেলতে হয়েছে দুটো দেশ ঘুরে ঘুরে। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আয়োজক হিসেবে কিছু বাড়তি সুবিধা তো তারা পেতেই পারে। কিন্তু স্বাগতিক না হয়েও স্বাগতিকদের মতোই সুবিধা পেয়ে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবুও নাকি সন্তুষ্ট নন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সফরসূচি নিয়ে তাঁর এন্তার অভিযোগ।
স্বাগতিক হিসেবে নিউজিল্যান্ড সবগুলো ম্যাচই খেলেছে নিজেদের মাঠে। ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে অপর আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকেও। একটা ম্যাচ তারা খেলেছে নিউজিল্যান্ডে উড়ে এসে। ওড়াওড়ির ঝক্কি আর ভ্রমণক্লান্তি ভুগিয়েছে অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকেও। কিছু ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ায়, তারপরই উড়াল দিতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে এক-দুটি ম্যাচ খেলে আবার আসতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। অথবা কিছু ম্যাচ নিউজিল্যান্ডে, তারপর উড়াল অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে খেলে আবার নিউজিল্যান্ডে।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে গ্রুপ পর্বে ভারত একমাত্র দল হিসেবে পেয়েছে একই ভেন্যুতে পর পর দুটো ম্যাচ খেলার সুযোগ। সেই ম্যাচ দুটো হয়েছিল পার্থে। সে সময় টানা ১৩ দিন তারা পার্থে থাকার সুযোগ পায়। একই ভেন্যুতে টানা দুটো ম্যাচ খেললে কিছু বাড়তি সুযোগও পাওয়া যায়। মাঠের কন্ডিশন, আবহাওয়া সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা হয়ে যায়। বাড়তি বিশ্রামের সুযোগ তো আছেই। আরও একটি সুবিধা পেয়েছেন ধোনি-কোহলিরা। তাঁরা মাত্র একবার দেশ পরিবর্তন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা চারটি ম্যাচ খেলে গ্রুপপর্বের শেষ দুটি ম্যাচ তাঁরা খেলেছেন নিউজিল্যান্ডে। যেখানে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে দুবার করে যাওয়া-আসা করতে হয়েছে।
কিন্তু তার পরও নাখোশ ধোনি। সফরসূচি নিয়ে জানিয়েছেন একগাদা অসন্তোষ। তাঁর খেলোয়াড়েরা বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। পার্থ থেকে ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে এসে পৌঁছায় ৭ মার্চ মধ্যরাতে। সেখান থেকে প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বাসযাত্রার পর তারা এসে পৌঁছায় হ্যামিল্টনে। সময়-পার্থক্য এবং যাত্রার ধকলে নাকি ঠিকমতো ঘুমোতেই পারেননি দলের খেলোয়াড়েরা। হ্যামিল্টন থেকে অকল্যান্ড ফেরার পথেও আবার তাঁদের বাসে করে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হয়। এ নিয়ে নাকি বিরক্ত অনেক খেলোয়াড়। আসলে যেটা হয়েছে, অকল্যান্ড থেকে হ্যামিল্টনের কোনো ভালো বিমান নেই। যা আছে সবই ছোট ছোট ১০ আসনের বিমান। যা ভারতের ৩৩ জনের বিশাল বহর বহনের উপযোগী নয়। এ জন্যই সেখানে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুধু ভারতই নয়, হ্যামিল্টনে খেলা প্রতিটি দলকেই একই পন্থায় যাতায়াত করতে হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ শুধু ভারতের কণ্ঠে।
শনিবার জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে আরও একটি দাবির কথা তুলেছেন অধিনায়ক ধোনি। সফরক্লান্তি কাটাতে দলের সব খেলোয়াড়ের জন্য আরামদায়ক ‘বিজনেস’ ক্লাসের বিমান টিকিট চান তিনি। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দলের দেখভালের দায়িত্ব আইসিসির। সাধারণত সফরকারী দল চারটি বিজনেস ক্লাসের টিকিট পায়। যেগুলো ব্যবহার করেন দলের অধিনায়ক, প্রধান কোচ, ম্যানেজার এবং দলের পরিচালক। অন্য খেলোয়াড়েরা ভ্রমণ করেন ‘ইকোনমি’ বা সাধারণ ক্লাসে। সবাই এভাবেই এত দিন ধরে খেলে আসছেন। কিন্তু একমাত্র ধোনিই দাবি তুললেন দলের সবার জন্যই বিজনেস ক্লাস টিকিটের। ভারতীয় পত্রিকা এবেলা থেকে জানা গেল, আইসিসি প্রথা ভেঙে ভারতের সব খেলোয়াড়কেই ‘বিজনেস’ ক্লাসে করে মেলবোর্নে উড়িয়ে আনতে পারে ।
এই সুযোগ কি শুধু ভারতের জন্য? তাহলে বাকি দলগুলোর অপরাধ কী? প্রশ্নগুলোর উত্তর আপাতত মিলছে না!

0 comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.