ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর আদালতে হাজিরা এড়াতে তার চেহলামকে খালেদা জিয়া ব্যবহার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
“উনার ছেলে মারা গেল। ছেলের লাশ আসবে, ছেলের জানাজা পড়বে। উনার হরতাল-অবরোধ আর ওঠে না। ছেলের জন্য কোনো দয়ামায়া আছে বলেও সন্দেহ হয়। আজ পর্যন্ত ছেলের কবরটা দেখতে যায় নাই। ছেলের জন্য যে একটু দোয়া-খায়ের করবে, সেটাও না।”
“যেদিন কোর্টে হাজিরার দিন, সেদিন মনে পড়ল- ছেলের চল্লিশা করতে হবে। তাও ওই অফিসের মধ্যে বসে চল্লিশা। ছেলের জন্য না, ওনার যাতে কোর্টে যেতে না হয়, সেজন্য চল্লিশা। একটা অজুহাত।”
অবরুদ্ধ অবস্থায় অবরোধ ডাকার পর গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থানের মধ্যেই আরাফাতের লাশ আসে মালয়েশিয়া থেকে। কার্যালয়ে থেকেই ছেলেকে শেষ বিদায় জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
অবরুদ্ধ অবস্থা উঠে গেলেও কার্যালয় ছাড়েননি খালেদা। এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “উনি কিছুই মানবেন না। কোর্ট-কাচারি মানবেন না। দিনের পর দিন মামলার তারিখের পরও উনি কোর্টে যাবেন না। তিনি কোর্টের আদেশ অবমাননা করে যাচ্ছেন।
“তার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়েছে, ফেরারি আসামি ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। তার তো উচিত দ্রুত কোর্টে গিয়ে স্যারেন্ডার করা। কেউ আইন-আদালত মানলে তোকে কোর্টে গিয়ে স্যারেন্ডার করতে হত।”
“চুরি করতে পারে, এতিমের টাকা মেরে খেতে পারে। আর ধরা যখন পড়ে যায়, তখন মামলা মোকাবেলা করতে পারে না,” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টি করে খালেদা জিয়া তার দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।



0 comments:
Post a Comment